চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এবারও নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী তিন ধাপে আবেদন নেওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের চাপ ও দাবি মেনে কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত আরও একটি ধাপ যুক্ত করে চারবার আবেদন নেওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু তাতেও সব সমস্যা মিটেনি। সর্বশেষ ধাপের ফল প্রকাশের পরও ১৬৯ জন শিক্ষার্থী কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারেননি। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এ তালিকায় এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া পাঁচজন মেধাবী শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
গত বুধবার রাতে শেষ ধাপের ফলাফল প্রথমে এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হলে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চার দফা আবেদন শেষে এই ১৬৯ জনের জন্য কোনো কলেজ নির্ধারিত হয়নি।অন্যদিকে দেশের ৩৪৮টি কলেজে একটিও শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। এর মধ্যে ১৩টি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী শুরু থেকেই আবেদনই করেনি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. রিজাউল হক জানান, মূল নীতিমালায় তিনটি ধাপের কথা উল্লেখ ছিল। তৃতীয় ধাপ শেষে দেখা যায়, তখনও ৫ হাজার ২৪০ জন শিক্ষার্থী কলেজ না পেয়ে ঝুলে ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৩ শতাধিক ছিল জিপিএ-৫ প্রাপ্ত। শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত রাখা সম্ভব নয় বলে চতুর্থ ধাপে আবার আবেদন নেওয়া হয়। বোর্ড থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল যেন সব শিক্ষার্থী আসন পায়, তবে অনেকেই একই ভুল করেছেন। তারা এমন কলেজকেই অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছেন যেখানে আসন ফাঁকা নেই। ফলে শেষ ধাপেও ১৬৯ জন বাদ পড়ে যান।
সামনে কী হবে এই শিক্ষার্থীদের?
এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে এই ১৬৯ জনের ভর্তির বিষয়টি কীভাবে সমাধান হবে? ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া এ নিয়ে কিছু বলার সুযোগ নেই। তবে বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে কাউকেই বাইরে রাখা হবে না। যেহেতু দেশে অনেক কলেজে আসন খালি আছে, তাই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে ম্যানুয়ালি ভর্তি করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিষয়টি জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন করে অনলাইনে আবেদন খোলার সুযোগ আর নেই। তাই যেসব শিক্ষার্থী এখনও কলেজ পাননি, তাদের লিখিতভাবে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডে আবেদন জমা দিতে হবে। এরপর বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পছন্দের কলেজে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হতে পারে।
