বিজ্ঞাপন স্থান

মায়ের কাছে পড়ে ৯ মাসেই হাফেজ ৭ বছরের মুহাম্মদ

 নয় মাসে পবিত্র কোরআন হিফজ—এই অদম্য কীর্তির নায়ক কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সাতবাড়ীয়া গ্রামের সাত বছরের এক শিশু, মুহাম্মদ। যে বয়সে শিশুরা কেবলমাত্র খেলাধুলা আর পাঠশালার প্রাথমিক পাঠে ব্যস্ত থাকে, সেই বয়সেই মুহাম্মদ পরিপূর্ণভাবে হৃদয়ে ধারণ করেছে মহান আল্লাহর বাণী।

এই অসাধারণ সফলতার পেছনে রয়েছে তার নিবেদিতপ্রাণ মা মাছুমা জান্নাত, যিনি নিজেই একজন আলেমা এবং ‘মাছুমা জান্নাত মহিলা মাদরাসা’র প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষিকা। মুহাম্মদের হিফজের পুরো পথচলা হয়েছে মায়ের তত্ত্বাবধানে, ঘরের মধ্যেই মাদরাসার পরিবেশে। মায়ের সঙ্গে সঙ্গে নানিও ছিলেন এই কীর্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।



পবিত্র কোরআনের এই মহামূল্যবান সম্পদ অর্জনের আনন্দে মঙ্গলবার (১০ জুন) মাদরাসায় এক আবেগঘন আয়োজনে শিশুটিকে দেওয়া হয় সম্মাননা। বরেণ্য আলেমগণ ও আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে মুহাম্মদের মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয় সম্মানসূচক পাগড়ি—যা তার হিফজের মুকুট হয়ে উঠেছে।

মুহাম্মদের বাবা, মুফতি আবদুল্লাহ আমজাদ বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের পুরো পরিবার কোরআনের আলোয় আলোকিত। মুহাম্মদ যা করেছে, এর শুকরিয়া আদায় করা ভাষায় সম্ভব নয়। আমার স্বপ্ন, সে একদিন একজন বিশ্বসেরা হাফেজ, আলেম ও দাঈ হয়ে ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত হবে এবং দেশের নাম বিশ্বদরবারে গর্বের সঙ্গে উজ্জ্বল করবে।”

মুহাম্মদের এই অল্প বয়সেই মহান কীর্তি প্রমাণ করে—যেখানে রয়েছে দ্বীনি পরিবেশ, অধ্যবসায় ও ঈমানদীপ্ত মন, সেখানেই সম্ভব অসাধ্যকে সাধন করা। আল্লাহ তাআলা এই শিশুকে হিফজুল কোরআনের নূর দিয়ে আরও উজ্জ্বল করুন—এই দোয়াই করেন সকলে।