শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অনুমোদিত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখায় ছাত্রদের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কলেজের EIIN নম্বর: ১০৭৯৭৭।
আবেদনের যোগ্যতা
যেকোনো শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি বিভাগে আবেদনের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ নিম্নরূপ:
-
বিজ্ঞান বিভাগ (বাংলা ভার্সন): জিপিএ ৫.০০
-
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ (বাংলা ভার্সন): জিপিএ ৪.৭৫
-
মানবিক বিভাগ (বাংলা ভার্সন): জিপিএ ৪.৫০
বিভাগভিত্তিক আসনসংখ্যা
-
বিজ্ঞান বিভাগ: ৯০০টি আসন
-
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ: ১৫০টি আসন
-
মানবিক বিভাগ: ১৫০টি আসন
ভর্তির সময়সূচি ও প্রক্রিয়া
-
আবেদন গ্রহণের সময়: ৩০ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট ২০২৫
-
আবেদনের মাধ্যম: অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে
-
ভর্তি নির্বাচন: এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার জিপিএ অনুযায়ী মেধাতালিকার ভিত্তিতে
-
ফলাফল প্রকাশ: বোর্ড কর্তৃক তিন ধাপে ফলাফল প্রকাশিত হবে
-
ভর্তি নিশ্চয়ন: নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে ৩৩৫ টাকা বোর্ড রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি দিয়ে অনলাইনে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে
-
একজন শিক্ষার্থী শুধুমাত্র একটি কলেজে ভর্তি হতে পারবে
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: ঢাকা কলেজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
ঢাকা কলেজের সাফল্য (২০২৪)
২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা কলেজ থেকে ১,০৫৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ১,০৪৮ জন উত্তীর্ণ হন। পাসের হার ৯৯.৮১%, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি। উল্লেখযোগ্যভাবে, ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ অর্জন করেছে, যা ২০২৩ সালের চেয়ে ১৫৪ জন বেশি।
-
২০২৩ সালের পাসের হার: ৯৯.৫৪%
-
২০২২ সালের পাসের হার: ৯৯.৮৩%
এই ফলাফলই প্রমাণ করে, ঢাকা কলেজের একাডেমিক মান ও ফলাফল দেশসেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় কেন রয়েছে।
ঢাকা কলেজ: ঐতিহ্য ও গৌরব
১৮৪১ সালে “ঢাকা ইংরেজি স্কুল” হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি, পরে ১৮৪৬ সালে ঢাকা কলেজ নাম ধারণ করে। এটি ছিল পূর্ব বাংলার প্রথম আধুনিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রথমে নীলক্ষেত এলাকায় অবস্থান করলেও ১৯৫৫ সালে কলেজটি বর্তমান ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও নেতৃত্বে এই কলেজ থেকে অসংখ্য বিশিষ্টজন গড়ে উঠেছেন—যাদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী এবং প্রশাসক।
